আমরা প্রায় প্রতিদিনই ইন্টারনেট থেকে ফ্রীতে মুভি/সিরিজ ডাউলোড করি। কিন্তু ডাউনলোডের সময় আমরা সবাই দেখেছি মুভির শেষে PDVDRip, BRRip, TS ইত্যাদি লেখা থাকে। আমাদের অনেকেরই এসব সম্পর্কে জানিনা বা জ্ঞান নেই। তাহলে আসুন একটু জেনে নেয়া যাক। আমার এই ছোট্ট প্রয়াস হয়ত আপনাদেরকে ভবিষ্যতে আরো ভালভাবে মুভি ডাউনলোড দিতে সাহায্য করবে। মুভির বিষয়টা বুঝে ডাউনলোড দিতে পারবেন। মূলত মুভির শেষে যে লেখাগুলো থাকে তা রিপিং (Ripping) স্টাইল চিহ্নিত করে। যাকে সহজ ভাষায় বলতে গেলে মুভির প্রিন্ট বলা যায়।

বেষ্ট প্রিন্ট সমূহ :
BRRip OR BDRip : Blue Ray Disk এর নাম আপনারা সবাই শুনেছেন। এগুলো ডিস্কের দাম অনেক বেশি এবং আমাদের দেশে পাওয়া যায় কিনা সে সম্পর্কে আমি বলতে পারব না। Blue Ray ডিস্ক থেকে রিপিং করে যে সব ইন্টারেনেটে ছাড়া হয় সেগুলোই হল BR অথবা BD রিপ। এগুলোর কোয়ালিটি খুবই ভাল, দেখতে পুরোপুরি পরিষ্কার। একে আমরা Original Master Print বলতে পারি। এগুলোর ভিডিও কোয়ালিটি ৭২০-১০৮০ পিক্সেল পর্যন্ত হয়ে থাকে।

নিম্নে BDRip এবং BRRip এর পার্থক্য দেয়া হল :
BDRip : এই রিপ Xvid এনকোডিং এর মাধ্যমে সরাসরি ব্লু রে ডিস্ক থেকে রিপিং করা হয়।

BRRip : ইতোমধ্যে ফাইল আকারে রিলিজ হয়েছে, এরকম অংশ থেকে আবার নতুন ভাবে ইনকোডিং এর সাহায্যে রিপ করাকে BRRip বলে।

বিঃ দ্রঃ BRRip এবং BDRip – DVDRip থেকে অনেক ভাল। কিন্তু ব্লু-রে ডিস্কের কোয়ালিটি ১০৮০ পিক্সেলের হয়, কিন্তু আমরা যে রিপগুলো দেখে সেগুলো ৭২০ পিক্সেলের হয়। তাই BRRip বা BDRip কে আসল ব্লু-রে কোয়ালিটি বলে ভুল করবেন না।

তাই বলা যায়, TS Rip এর কোয়ালিটি CAM রিপ এর চেয়ে একটু ভাল। তবে কোয়ালিটি বেশি নির্ভর করবে প্রযুক্তির উপর। স্ক্রিনের Aspect Ratio হয় 4:3.

DVD Rip : এটি হল PDVD এর যমজ ভাই। একই জিনিস। এটি সরাসরি DVD থেকে রিপিং করে Xvid/DivX (ইনকোডিং ফরম্যাট) ইনকোডিং ফরম্যাটে এনে ইন্টারনেটে রিলিজ করা হয়। এটি হল ফাইনালি রিলিজড ডিভিডির রিপ। কোয়ালিটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভাল হয়।

WEB-DL Rip : WEB-DL কি? আমার মনে হয় WEB-DL সম্পর্কে স্পষ্ট করে একটু বলা দরকার। WEB-DL হচ্ছে টাকা দিয়ে কিনে ডাউনলোড করে তা ফ্রি তে আপলোড করা কোনো ভিডিও। সাধারণত কোনো টিভি সিরিজের কোনো পর্ব টিভি নেটওয়ার্কে দেখানোর পরপরই (১-৬ ঘন্টার মধ্যে) সেই টিভি নেটওয়ার্কের ওয়েবে অথবা সেই সিরিজ ডিস্ট্রিবিউটরের ওয়েবে অথবা আই টিউন (iTune) স্টোরেও সেটি আপলোড হয়ে যায়, যেগুলো কিছু টাকার পরিশোধের বিনিময়ে ডাউনলোড করা যায়। কিছু কিছু মুভি/সিরিজ অ্যাডিক্ট সেগুলো টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে ফ্রি তে আপলোড করে দেয়। এভাবে কিছু কিছু মুভিও আপলোড হয়ে থাকে।

সুবিধা : এগুলো সাধারণত ডিভিডি / ব্লু-রে রিলিজের আগেই ওয়েবে রিলিজ হয়, কিন্তু কোয়ালিটি প্রায় একই। এই রিপটি ডিভিডিরিপ ও ব্লু-রে রিপের মাঝামাঝি একটি রিপ। তাই কোয়ালিটি নিয়ে টেনশন করার তেমন দরকার নেই। অসুবিধাঃ তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়তো কিছু সেন্সর করা থাকে বা কিছু সিন বাদ দেয়া থাকে, সেটা নির্ভর করে সেই রিলিজিং ওয়েব সাইটের পলিসি অনুযায়ী।।

HD (HDTV) রিপ এবং DVD/WEB-DL রিপের মধ্যে ডিফারেন্স কি?
কোনো সিনেমা সাধারণত এক বা একাধিক ডিস্ট্রিবিউটর মাধ্যমে রিলিজ করা হয়। স্পেশালী টিভি’র জন্য বানানো না হলে সাধারণত প্রথমে থিয়েটারে রিলিজ দেয়া হয়, এর প্রায় ২ মাস বা তার ও পরে ডিভিডি বা ব্লু রে রিলিজ দেয়া হয়, তার কিছু সময় পর পে-টিভি তে লিমিটেড রিলিজ হয় এবং কমপক্ষে ২ বছর পর ফ্রি করে দেয়া হয়। এটা হচ্ছে সাধারণ নিয়ম যা বিগত অনেক দশক ধরে চলে আসছে।

কিন্তু, বর্তমানে ইন্টারনেট এর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায়, ইন্টারনেট স্পিড এর অসাধারণ উর্ধ গতি স্মার্ট ফোন এবং স্মার্ট টিভি’র জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই ডিস্ট্রিবিউটররা সেই স্মার্ট টিভি’র জন্য ব্যবহার উপযোগী ডিজিটাল মিডিয়াও রিলিজ করছে, এবং তা হচ্ছে সাধারণ ডিভিডি বা ব্লু রে রিলিজের আগেই, পুরোটাই বাজারজাতকরনের কৌশল। কারণ বাজারে ডিভিডি চলে আসলে কেউ টাকা দিয়ে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করবে না। এই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছে কিছু কিছু রিপার. তারা নিজের গাটের টাকায় ইন্টারনেটে পেমেন্ট করে সিনেমা ডাউনলোড করে এবং পরে তা ফ্রি তে আপলোড করে দেয়. যেটাকে আমরা WEB-DL রিপ বলে থাকি।

অন্যদিকে, বর্তমান যুগের বড় বড় LED, High Definition, 3D, Plasma টি ভি’র ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায়, টি ভি চ্যানেল গুলিও ডিজিটাল হয়ে গেছে এবং সেই চ্যানেলের ভিডিও কোয়ালিট অনেক উন্নত হয়ে গেছে। সাধারণত যেসব টি ভি চ্যানেলের ভিডিও কোয়ালিটি ১২৮০ X ৭২০ বা এর উপরে তাদের HD Channel বলা হয়। অনেকেই সাধারণ টিভি কার্ড অথবা ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার দিয়ে HDTV তে দেখানো কোনো প্রোগ্রাম রেকর্ড করে তা এনকোড করে আপলোড করেন যাদের বলা হয় HDTV রিপ। এর কোয়ালিটি কি ? আসলে কোয়ালিটি বিষয়টি আপেক্ষিক, কেননা ডিভিডি / ব্লু রে রিপ এনকোড করে অনেক লো কোয়ালিটি করা যায়, আবার HDTV রিপ ও এনকোড করে ৭২০ বার তার বেশি রাখা যায়, সেটা নির্ভর করে সম্পর্ণ এনকোডের উপর তাই এক্ষেত্রে ভালো মন্দ বিচার করা অসম্ভব।

HDTV তেও অনেক ভালো প্রোগ্রাম দেখা যায়, তবে আমাদের আগ্রহের বিষয় হচ্ছে সিনেমা এবং টিভি সিরিজ। কিছু কিছু টিভি মুভি সিনেমাতে রিলিজের বদলে (বা আগে) টিভিতে রিলিজ হয়, কিন্তু তা ছাড়া কোনো সিনেমা ডিভিডি / ব্লু রে রিলিজের আগে টিভি রিলিজ হয়না বললেই চলে। তাই টিভি মুভি ব্যতিত সাধারণ মুভি HDTV রিপ এর প্রশ্নই ওঠে না, এদের WEB-DL রিপ হয়। তবে টিভি সিরিজ গুলি সিজন শেষ হবার অনেক পরে ডিভিডি / ব্লু রে রিলিজ করে বলে অনেকেই অপেক্ষা না করে HDTV রিপ নামিয়ে দেখে ফেলে। প্রকৃত পক্ষে আমরা সবাই টি ভি সিরিজের ক্ষেত্রে তাই করে।

Hall Print ও Pre-dvdrip প্রিন্ট সমূহ :
WorkPrint (WP) : এ রিপ দিয়ে ডাউনলোড দেবেন না। এই রিপগুলোতে সিনেমা রিলিজ হওয়ার আগেই বের হয়। এসব কে চোরাই রিপ না বললেও চলে, কেননা ইন্ডাস্ট্রি নিজ স্বার্থে এটি ব্যবহার করে। এ ক্ষেত্রে অনেক সিন নাও থাকতে পারে, সাউন্ড না থাকতে পারে। একে আমরা অনেকটা Movie Trailer এর সাথে তুলনা করতে পারি।

TV Rip : টিভি হল বর্তমানে আমাদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। অনেকের কম্পিউটারে টিভি কার্ড লাগানো থাকে এবং তা দিয়েই আমরা পিসিতে টিভি দেখতে পারে। কিছু উন্নতমানের কার্ড হলে সরাসরি টিভি থেকেই রেকর্ড সম্ভব হয়। তবে কোয়ালিটি কেমন হবে তা নির্ভর করে আপনার টিভি স্ক্রিন কত পরিষ্কার এবং চ্যানেল কত স্বচ্ছ। Television থেকে যেসব রিপিং করে ইন্টারনেটে ছাড়া হয় সেগুলোই হল টিভি রিপ।

CAM Rip : মুভি যখন প্রথম রিলিজ হয় তখন এই রিপের ফাইলগুলো ইন্টারনেটে ছাড়া হয়। দেখেই বোঝা যায়, এটি হল Cam অর্থাৎ ক্যামেরা দ্বারা রিপ করা।

সিনেমা হলের প্রিন্টই হল ক্যাম রিপ যাকে আমরা বলে থাকি Hall Print. এ ধরনের রিপের কোয়ালিটি নিম্নমানের হয়। একটি পাওয়ারফুল ক্যামেরা দিয়ে হলে বসেই স্ক্রিন ভিডিও করা হয়। সাউন্ড নেয়া হয় ক্যামেরার সাথের স্পিকার দিয়ে অথবা হলের স্পিকারের লাইন থেকে। অনেক ক্ষেত্রেই হাঁত কাপার কারনে স্ক্রিনও কেঁপে যায়, আবার সামনে দিয়ে যদি কোন লোক হেঁটে যায় তবে তাকেও দেখা যায়। বসার জায়গা সঠিক না হলে রিপিং এর সময় স্ক্রিনের চারদিকের বর্ডারটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে (অর্থাৎ সিনেমা হলের পর্দার বর্ডার)। আবার অনেক সময় একটি কোনা থেকে বসে রেকর্ড করলে সিনেমা অনেকটা বাকা বলে মনে হয়।

আমাদের এই উপমহাদেশে যে সকল Cam Rip হয় সেগুলো খুব নিম্নমানের। তবে পশ্চিমা দেশের হলের পর্দা স্পষ্ট এবং সেখানে রিপিং সম্পর্কিত প্রতিভা ভাল হওয়ায় সেখানকার ক্যাম রিপ একটু ভাল কোয়ালিটির হয়।

TS Rip : TS এর সম্পূর্ণ অর্থ হল Tele Sync। এটি প্রায় CAM রিপ এর মতই। তবে মূল পার্থক্য হল – একটি এক্সটার্নাল সোর্স থেকে অডিও সরবরাহ করা হয়। যদি ডাইরেক্ট সাউন্ড সিস্টেম থাকত, তাহলে দর্শকদের মুখের কথা শোনা যেত। আবার কমেডি সিনেমা হলে হো হো করে হাসির শব্দ শুনলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। এক্সটার্নাল সোর্স থেকে সাউন্ড সংগ্রহ করায় এর সাউন্ড এর মান ভালো হলেও , পিকচার কোয়ালিটি CAM এর মতই , কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছুটা ভালো হয়।

SCR Rip : পুরো অর্থ Screener। অনেক মুভির প্রচারের জন্য VHS Tape বিভিন্ন দোকানে পাঠানো হয়। এসবের মূল বৈশিষ্ট্য হল, স্ক্রিনে শুরুতে কোম্পানির নাম এবং কপিরাইট সম্পর্কিত টেক্সট ভাসতে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসকল টেক্সট পুরো সিনেমার সময় ধরে এক কোনায় ভাসতে থাকে। এসকল Tape থেকে যে সকল রিপ করে ইন্টারনেটে ছাড়া হয় সেগুলো SCR Rip নামে উল্লেখ করা হয়।

এসকল ছবির মান কেমন হবে তা নির্ভর করবে এনকোডারের আর টেপের উপর। যদি সরঞ্জমাদি ভাল হয় তবে কোয়ালিটিও ভাল হতে বাধ্য।

DVD SCR : এটি হল Screener এর মামাত ভাই। পার্থক্য হল, VHS Tape এর বদলে DVD থেকে এর রিপিং করা হয়। তবে খুশি হয়ে লাভ নেই, এতেও বিশেষ ধরনের টেক্সট ভাসতে থাকে। বরং এখানে টেক্সট যদি মাঝখানেও ভাসে তাহলে করার কিছু নেই।

TC Rip : TC এর সম্পূর্ণ অর্থ হল TeleCine। এটি শুধু আমাদের দেশে নয়, প্রায় সব দেশেই একেবারে Uncommon. TC রিপ এ সিনেমার রিল (Reel) থেকে সরাসরি সিনেমা কপি করা হয়, এরপর ডিস্ক থেকে রিপ করে ইন্টারনেটে ছাড়া হয়। সাউন্ড কোয়ালিটি এবং পিকচার কোয়ালিটি অত্যন্ত উন্নতমানের হয়। কিন্তু এ রিপিং পদ্ধতিতে খরচ বেশি হওয়ায় এটি অনেকটাই আন-কমন।

PDVD Rip : এর পুরো অর্থ সম্পর্কে ইন্টারনেটে মতভেদ আছে। কেউ বলেন এর অর্থ Pre DVD Rip আবার কেউ বলেন Pirated DVD Rip. তবে যেটাই হোক না কেন, এটা কিন্তু এই আমাদের এশিয়া মহাদেশ সম্পর্কিত। প্রি ডিভিডি রিপ বলতে বুঝায় সিনেমার অফিশিয়াল রিলিজ হওয়ার আগেই যে রিপ করে সিনেমা ইন্টারনেটে রিলিজ করা হয়। আর এসব ডিস্ক সাধারনত সিলভার ডিস্ক হয় যা কিন্তু সস্তা।

আমরা বাজারে যেগুলো কিনি সেগুলোর বেশিরভাগই PDVD রিপ।

R5 Rip : R5 হল একটি বিশেষ ধরনের ডিভিডি ফরম্যাট যা Region 5 হিসেবে রিলিজ হয়। (সূত্রঃ ইন্টারনেট/গুগলিং)। এর জন্ম সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে। ইন্টারনেটের চোরাকারবারিরা R5 Rip রিলিজ করে (অবশ্য এখনো তো তারাই করে)। এসকলের কোয়ালিটি খুবই উন্নতমানের। উল্লেখ্য আমি একটা মুভি ডাউনলোড করেছিলাম R5 রিপের, কোয়ালিটি বলতে পারেন Full HD. (অথচ সাইজ ৪৫০ মেগা)

মূলত, মুভি পাইরেসির সঙ্গে কোম্পানি গুলো পাল্লা দেয়ার জন্য আলাদা ফরম্যাটের ডিভিডি রিলিজ করত। এটি অনেক সময় ডাইরেক্ট টেলিসিন ট্রান্সফার করা হয় ডিভিডির মত আলাদা কোন ইমেজ সম্পাদনা ছাড়াই। এর ফলে যখন PDVD বা DVDSCR রিলিজ হয়, তখনই এই বিশেষ ফরম্যাট রিলিজ হয়। এই বিশেষ ফরম্যাটের সাথে কোয়ালিটির কারনে PDVD বা পাইরেটেড কিছু টিকতে পারে না। এই বিশেষ কোয়ালিটি থেকেও আমাদের পাইরেট ভাইয়ারা রিপ করে থাকে।

আর এই রিপ হল R5 Rip. R5 রিলিজ অনেক সময় কোন ইংলিশ অডিও ট্রাক ছাড়াই রিলিজ হতে পারে। এর ফলে চোরদের মুভির অফিশিয়াল রিলিজের অডিও ব্যবহার করতে হয় আলাদাভাবে কাট করে।

কিছু কথা : R5 DVDrip এবং DVDscr RIP হল চোরাই কিন্তু মোটামুটি ভাল প্রিন্ট। এগুলো সেন্সর বোর্ড বা এডিটিং রুম থেকে চুরি হওয়া প্রিন্ট হতে পারে। তবে এগুলোতে ভিডিও কিছুটা কালচে হয় এবং অডিও ভাল থাকে না। তাছাড়া Subtitle ও পাবেন না বা পেলেও কোন মিল পাবেন না ডায়লগের সাথে। সাধারণত মুভি রিলিজের ২-৪ সপ্তাহের মধ্যে এগুলো চলে আসে। বাংলাদেশের বাজারে এগুলোকে অরিজিনাল বলেই ক্রেতাকে ধরিয়ে দেয়া হয়। অনেকে ৯০% প্রিন্ট বলে বিক্রি করে।

যদি লেখা থাকে Camrip তাহলে বুঝতে হবে এটা হল প্রিন্ট মানে থিয়েটারে চলার সময় চুরি করে রেকর্ড করা হয়েছে প্রিন্ট ভালো না। যদি লেখা থাকে pdvd তাহলে বুঝতে হবে এটা ডিভিডি রিলিজ পাবার আগের ভার্সন মোটামুভি চলে আরকি এছাড়া DVDscr এরও একই অবস্থা। সবচেয়ে ভালো প্রিন্ট হলো DVDrip,HDrip,BRrip ইত্যাদি।

এখন প্রশ্ন হল, ডাউনলোড করব কোনটি?
আপনারা ডাউনলোডের জন্য DVDRip, BR/BDRip, HDrip, (720p, 1080p) বেছে নেবেন। এগুলোর কোয়ালিটি খুবই ভাল হয় (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে)।

পরিশেষে বলতে চাই, এই পোস্টটি আমার নিজের তৈরি করা পোস্ট নয়। আমি এটি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করেছি শুধু আপনাদের বিষয়টি জানানোর জন্য।

Post a Comment

 
Top