দেশের অভ্যন্তরীণ ইন্টারনেট কাঠামো নাহ গুছিয়ে পরপর সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা ও আপগ্রেড করানো কতটুকু যুক্তিসঙ্গত। যেখানে বাংলাদেশ ক্যাবল কোম্পানির কাছে এখনো ১০০জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ অব্যবহৃত অবস্থায় আছে। অন্য দেশগুলো যেখানে তার নিজস্ব সবটুকু ব্যান্ডউইথ গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়ায় নিত্য নতুন পলিসি তৈরি করে সেখানে আমরা ব্যান্ডউইথ এনে ফেলে দেই, এই অবস্থা অনেকটা আমেরিকার মত যে সেখানে নাকি এত গম উৎপন্ন হয় যে এক সময় গম সাগরে ফেলে দেয়া হয় । বাংলাদেশ কি ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথে সে পর্যায় চলে গেছে।
২য় সাবমেরিন ক্যাবলে ২০০ (বর্তমানে) কিংবা ১৫০০জিবিপিএস যাই যোগ হোক নাহ কেন এই ইন্টারনেট এর কথা ভুলে যান। আগে বাংলাদেশ ক্যাবল কোম্পানি (BSCCL) এর কাছে যে ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আছে তার কি অবস্থা সেটা নিয়ে ভাবুন। বাংলাদেশে গবেষণা ভিত্তিক ডাটা নেই বললেই চলে। ২০১৫ সালের শেষের দিকের রিপোর্টে জানা যায়,দেশের ব্যান্ডউইথ ব্যাবহার ১০০ জিবিপিএস ছাড়িয়েছে, যেখানে ব্যান্ডউইথ চাহিদা ১২৫ জিবিপিএস এবং এর মধ্যে ৯২ জিবিপিএস আমরা ইন্ডিয়া থেকে নিয়ে আসি। অথচ আমাদের দেশের BSCCL এর কাছে ব্যান্ডউইথ ছিল ১৬৪ জিবিপিএস আর ব্যাবহার হত ৩৩ জিবিপিএস। বাকিটা ফেলে রাখতাম আমরা। তাহলে কেন আমরা আবার টাকা খরচ করে ভারত থেকে ব্যান্ডউইদথ আমদানী করছি? সে প্রশ্নে পরে আসি। BSCCL এর ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের টার্গেট ধরা হয়েছে প্রায় ১৬০ জিবিপিএস।
২০১৭ তে এসে BSCCL এর কাছে ইন্টারনেট আছে ২০২ জিবিপিএস আর ব্যাবহার হচ্ছে ৪৩, এখন ইন্টারনেট চাহিদা আর ভারত থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানির পরিমান কতটুকু হতে পারে তা অনুমান করে নিবেন। আমরা নিজেদের ব্যান্ডউইথ ফেলে রেখে ভারত থেকে আমদানি করছি তাহলে আমাদের ফেলে রাখা ব্যান্ডউইথ-ও ভারতে রপ্তানি করা যাক। এই মর্মে তাই BSCCL ভারতে মাসে ১০ জিবিপিএস (মাসে আয় ১ লাখ ডলার) ( টার্গেট ৪০ জিবিপিএস ) রপ্তানি শুরু করে বছরখানেক কথা বলার পর ২০১৬ সালে। তাহলে দেশে ৪৩ আর ভারতে ৪০ই ধরলাম মিলে হল ৮০-৯০,এখনো পড়ে আছে ১০০। তাই কথা হচ্ছে একই সঙ্গে ভুটান ও নেপালের সাথে। বাংলাদেশ থেকে ব্যান্ডউইথ ক্রয় করতে পারলে তাদের অবকাঠামোগত খরচ হবে খুবই কম।
চলুন তো এই ফেলে দেয়া পরিমাণটার বাজার মূল্যটা একটু দেখি। ১বছরে (১০০ x ৬০ x ৬০ x ২৪ x ৩৬৫ ) ভাগ ১০০০ = ৩১,৫৩,৬০০ টেরাবিট কন্টেন্ট অব্যবহৃত ছিল। এখন প্রতি জিবি ২/- টাকা করে ধরলেও এই ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ৩১,৫৩,৬০০ x ২ x ১০০০ = ৬৩০,৭২,০০,০০০ কোটি টাকা। টাকা নাহ হয় বাদ দিন গত ২-৩ বছর এ প্রতিবছর যদি এত পরিমান কন্টেন্ট নেটে আপলোড/ডাউনলোড হতো তাহলে আমরা প্রযুক্তিতে আরো কত এগিয়ে যেতাম।
BSCCL এর মেইন কাস্টমার হল মোবাইল অপারেটর গুলো। এদের ব্রডব্যান্ড ইউজার নেই বললেই চলে, যে কয়েকটা গ্রাহক আছে তা সরকারি যে সব জায়গা আছে (অফিস) সেখানে। আমরা যারা ব্রডব্যান্ড ব্যাহবার করি এইসকল ব্যান্ডউইথ সরবারহ করে ভারতের ২ টি কোম্পানি। আমাদের ইন্টারনেট প্রোভাইডাররা তাদের কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ কিনে আমাদের সার্ভিস দেয়। কারণ BSCCL এর চেয়ে তারা কম মূল্যে ব্যান্ডউইথ দিয়ে থাকে। BSCCL এর সর্বনিম্ন ব্যান্ডউইথ মূল্য ৬২৫ টাকা যেখানে ১ম শর্ত ১০ জিবিপিএস নিতে হবে যা মোবাইল অপারেটর বাদে আমাদের লোকাল ইন্টারনেট প্রোভাইডার দের এত ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন পড়ে নাহ। ২য় শর্ত নতুন এ মূল্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জন্য প্রযোজ্য হবে। আমাদের লোকাল ইন্টারনেট প্রোভাইডাররা যতটুকু ব্যান্ডউইথ প্রয়োজন পড়ে তার মূল্য BSCCL এর কাছে প্রায় ৭৫৫ টাকা যেখানে সেই ভারতীয় কোম্পানি বিক্রি করে প্রায় ৪৩০ টাকায়।
এবার নিশ্চয়ই ভাবছেন তাহলে BSCCL ব্যান্ডউইথ এর দাম আরো কমিয়ে দিলেই তো হয়। কারণ এমনিতেই আরো ব্যান্ডউইথ পড়ে আছে, কিন্তু তা BSCCL করবে নাহ, কারণ বিটিআরসি (Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission) মহাত্মা গান্দিকে অনুসরণ করে। ওইসব কোম্পানির চেয়ে যদি কম দামে BSCCL ব্যান্ডউইথ দেয় তাহলে সারাদেশে ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেয়া ওই ২ টি কোম্পানি লস খেয়ে যাবে। আর বিটিআরসি কারো ব্যাবসায় লস ধরাবে নাহ, তাই উল্টো তাদের ব্যাবসা আরো টিকিয়ে রাখতে তাদের নিয়ে আরো ২০ বছরের চুক্তিতে বসে।
এবার যদি আপনি চান যে দেশের স্বার্থে আপনি নিজে BSCCL এর কাছ থেকে ইন্টারনেট নিবেন, তবে আবেদন করুন। আবেদন খরচ বেশি নাহ ৬০০০-৭০০০ টাকা, BSCCL ইন্টারনেট দেয় টেলিফোনের তারে, যদি আপনার বাসায় টেলিফোন লাইন থাকে তবে মডেম সহ খরচ পড়বে ২৫০০ টাকার মত। এর অসুবিধা হল, আপনি ভাবেন আপনি যখন কোন সরকারি সেবা পেতে চান তখন সেটি পেতে কেমন ভোগ পোহাতে হয় তেমনি এই লাইনএ যদি কখনো ড্রপ করে তবে ফোনের পর ফোন দিয়েও ১ দিন লেগে যাবে লাইন ঠিক করতে, আর সুবিধা হল আমাদের লোকাল ইন্টারেনেট প্রোভাইডার মাসের ৮-৯ তারিখের ভিতর বিল নাহ দিলে যেমন লাইন অফ করে দেয় কিন্তু BSCCL এর লাইন ২-৩ মাস আপনি বিল পরিশোধ নাহ করলেও লাইন কাটাবে নাহ।
এবার আসা যাক মোবাইল অপারেটর এর কাছে, দেশের শতকরা ৯৪ ভাগ ইন্টারনেটই মোবাইলে ব্যাবহার করা হয়। মোবাইল অপারেটর গুলো BSCCL ছাড়াও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট অপারেটর কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ কিনে থাকে। ধরুন তারা সরকারের কাছ থেকে ১ এমবিপিএস ব্যন্ডউইথ ৬২৫ টাকায় এক মাসের জন্য কেনে। এখানে আপ ও ডাউন উভয়ই কন্টেন্ট ধরে নেওয়া। ১ এমবিপিএস অর্থাৎ ১ সেকেন্ডে ১ এমবি ডাটা।তাহলে তারা এক মাসে ঐ টাকায় যা পেলো তার পরিমান= ৩০ x ২৪ x ৬০ x ৬০ x ১ = ২৫৯২০০০ এমবি = ২৫৯২ জিবি ডাটা। তাহলে প্রতি জিবি ডাটার ক্রয় মূল্য ৬২৫/২৫৯২= ০.২৪ পয়সা প্রায়। অথচ আপনার কাছে কত টাকায় বিক্রি করছে?
এখন যদি আপনি প্রতি জিবি পয়সা আকারে ধরে হিসাব করেন তাহলে Imran H Sarker সরকারের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে গড়ে প্রতি সেকেন্ডে ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয় ৪০০ জিবি। প্রতিদিন ইন্টারনেট ব্যবহৃত হয় ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার জিবি। প্রতি জিবি গড়ে ২০০ টাকা হিসেবে প্রতিদিন ব্যবহৃত ইন্টারনেটের দাম ৬৯১.২ কোটি টাকা। সরকারের কাছে প্রতি জিবি ২৬ পয়সা হিসেবে প্রতিদিন ব্যবহৃত ইন্টারনেটের ক্রয়মূল্য ৮৯.৮৬ লাখ টাকা। তার মানে দাঁড়ালো প্রতিদিন ৮৯.৮৬ লাখ টাকায় কেনা ইন্টারনেট জনগণের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে ৬৯১.২ কোটি টাকায়। প্রতিদিন ইন্টারনেট খাত থেকে মুনাফা হয় ৬৯০.৩ কোটি টাকা। প্রতি বছর ইন্টারনেট খাত থেকে মুনাফা ২ লাখ ৫১ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা। অপারেটরদের কাছ থেকে প্রতি বছর ইন্টারনেটের দাম হিসেবে সরকার পায় ৩২৮ কোটি টাকা মাত্র (প্রায়)। এই প্যারা সম্পূর্ণ তার দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাস অনুযায়ী।
এবার কি মোবাইল অপারেটর কে ধরবেন? সেখানেও যে আর এক ভূত বসে আছে। অপারেটর গুলো তো ২৪ কি ২৬ পয়সায় জিবি কিনে আপনার মোবাইলে ইন্টারনেট ঢুকিয়ে দিয়ে যায় নাহ। ব্যান্ডউইথ কে তো বাতাসে ছেড়ে দিলেই উড়তে উড়তে আপনার কাছে আসবে নাহ। আসল খরচ ঐ ব্যান্ডউইথ ইউজার এন্ডে পৌছানোতে। সরকার ব্যন্ডউইথ ফ্রি দিলেও পরিবহন খরচের জন্য ইউজারকে একই দাম দিতে হবে। যার জন্য লাগে তরঙ্গ, আর তরঙ্গের জন্য সরকারকে ফি দিতে হয়, প্রতি মেগাহার্জ শতশত কোটি টাকা। পরিবহনের ৮০% খরচ এই তরঙ্গে। ২জি-৩জি, যত জি পারবে তরঙ্গের মূল্য তত বারবে। সরকার গত এক যুগে ব্যান্ডউইথ মূল্য ১ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা থেকে ৬২৫-১১০০ টাকায় নিয়ে এলেও ঐ তরঙ্গের দাম এক পয়সাও কমায় নি। বরং ব্যান্ডউইথ যেন সর্বনিম্ন ব্যবহার হয় তার অসংখ্য পলিসি করেছে বিটিআরসি কারন এখানে আছে দৈনিক ভিওআইপির কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি। এখন তরঙ্গ এর দাম কমালে এই ব্যাবসা লস খাবে , এখানার দুর্নীতি লস খাবে তাই তরঙ্গ এর দামও কমানো যাবে নাহ।
এই তরঙ্গ – যা প্রাকৃতিক সম্পদ। পৃথিবীতে অঞ্চল ভেদে অন্যান্য খনিজ সম্পদের তারতম্য থাকলেও আকাশের এই প্রাকৃতিক সম্পদের কোথাও কোন তারতম্য নেই, আমেরিকায় যা বাংলাদেশেও তাই। তবে এর ব্যবহার নিয়ে রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে চলে গণবিরোধী অসংখ্য নীতি ও রাজনীতির খেলা। বাংলাদেশে মূলত কোন তরঙ্গ নীতিমালাই নেই। যা চলছে তা পৃথিবীতে নজির বিহীন।
এখন আপনি কার কাছে যাবেন সঠিক মূল্যে ইন্টারনেট পেতে। এত পলিসি আর চক্র দেখে স্বয়ং তারানা হালিম বলেছেন মধ্যস্বত্ব নিয়ে একটা ব্লেইম গেইম হয়। যারা স্বত্বভোগী আছেন তাদের নিয়ে যখনই আমরা মিটিং করি তারা বলেন আমি তো কমেই দিয়েছি কিন্তু আমার তো অন্যদের খরচ দিতে ব্যয় বাড়ছে। কেউ বলেন- এনটিটিএনদের দোষ, এনটিটিএনরা বলেন আইআইজিদের দোষ আবার বলেন এমএনওদের দোষ। তিনি জানান, আমরা এটা বুঝতে চাই না। আমাদের বক্তব্য হচ্ছে সরকার যখন এতটা দাম কমিয়েছে, এখন অ্যান্ড ইউজার লেভেলে আমরা তার প্রতিফলন দেখতে চাই। বিষয়টি আমরা খুব সুস্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছি। আমি সবাইকে বারবার বলেছি, অপারেটরদেরও বলেছি-এটি রাজনৈতিক সরকার, আমাদের জনগণের সেবা করতে হবে, ইন্টারনেটের দাম কমান।
তার মানে বুঝতেই পারছেন সবাই নিজের দিক থেকে ভালো। আসলে পুরো বিষয়টা এমন এক চক্রের ভিতরে পড়ে গেছে যে বরাবর আমজনতাকেই ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
অন্যদিকে বিটিআরসি আবার সকল আইএসপি কে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে বলেছে যেখানে লাইসেন্স ফি ১ লাখ থেকে ১০ লাখ করেছে + বাড়িয়েছে অন্যান্য ফি + বার্ষিক আয়ের ১ শতাংশ সরকারকে দিতে হবেও + ১ ভাগ ইউএসও ফান্ড। যেখানে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লাইসেন্স ফি বাড়লে অবশ্যই ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে গ্রাহকের কাছ থেকেই তা আদায় করা হবে।
আর এত সব ফি মিলে অলরেডি বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলে হাজার কোটি টাকার বেশি অলস পড়ে আছে। এই টাকা দিয়ে তারা কী করবে, তা নাকি এখনো ঠিক করতে পারেনি। দেশের প্রতি প্রান্তে নেট ছড়িয়ে দেয়া কিন্তু এদেরই নৈতিক দায়িত্ব। ভারতের সেই ২ কোম্পানি প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাচ্ছে নাহ কারণ তাদের ব্যাবসা করার মত গ্রাহক নাকি ওই সব জায়গাতে এখনো তৈরি হয় নাই।
এক্সকিউজ মি, আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে ভুলে গেছেন ২য় সাবমেরিন ক্যাবলের কথা। এখন ওইখানে যে ২০০(টার্গেট ১৫০০) যোগ হল, এখন ভাবুন তা দিয়ে আপনি কি করবেন? এটা ঠিক যে এর ফলে সিমিউই-৫ ক্যবলে আমরা কম মূল্যে আরো দ্রুতগতির বেশি ব্যান্ডউইথ পাবো কিন্তু যদি তার ইউজ-ই নাহ থাকে আর এই চক্র থেকে বাহির নাহ হতে পারে তবে সে আশা গুড়েবালি।
অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ ক্যাবলের জন্যও ক্ষতিকর। এমনিতেই ১ম সাবমেরিন ক্যাবল কয়েকবার ড্রপ মারছে এখন যদি ২য় সাবমেরিন ক্যাবল কেও এইভাবে ফেলে রাখা হয় তবে ২দিন পর শুনবেন সব ব্যান্ডউইথ ইঁদুরে খেয়ে নিচ্ছে Munir Hasan স্যারের মতে ব্যান্ডউইথে আমারা প্রায় ১২০০ কোটি টাকা ফেলে রাখছি। এছাড়াও নিত্য ঘটছে নতুন ঘটনা, নতুন পলিসি, নতুন চিন্তাধারা, ঘটে মজার ঘটনা তা একটু নেট ঘাটলেই পেয়ে যাবেন। সে সব নিয়ে নাহ হয় আরেকদিন লেখা যাবে।
বর্তমান নেটওয়ার্কেই বাংলাদেশের অন্তত ১৫০০+ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করার কথা ছিল। এখন আপনি কাকে দোষ দিবেন, বিটিআরসি নাকি বিএসসিসিএল নাকি এনটিটিএন নাকি এমএনও নাকি আইআইজি নাকি লোকাল প্রোভাইডারকে নাকি মোবাইল অপারেটর কে?
পরিশেষে আমার কোথাও ভুল হতে পারে, তা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। মূলত ফেসবুকে মোস্তাফা জব্বার স্যার এর স্ট্যাটাস ও সেখানে Munir Hasan স্যার এর ভিতর কথোপকথন থেকে খুব আগ্রহ জাগায় প্রতিদিন ২-৩ টা প্রবন্ধ পড়তে শুরু করলাম ব্যান্ডউইথ নিয়ে আর হতাশাই বাড়লো তাই শেয়ার করলাম।
সুত্র – দেশের বিভিন্ন পত্রিকা, ব্লগ ও নেট ।
হেই! এতক্ষণ যে পোস্টটি পড়লেন, এটা আমার তৈরি করা পোস্ট না। এই পোস্টটি তৈরি করেছেন Mashuir Rahman Sajib নামের একজন। আসলে এই বিষয়টা আমি ট্রিকবিডি থেকে নিয়েছি, শুধু আপনাদের আসল বিষয়টা জানানোর জন্য। তো পুরো পোস্টটা পড়ে কি বুঝলেন, এই হলো আমাদের দেশের অবস্থা। আবার আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখি। দেখি কবে কখন গড়তে পারি। হয়তো পারবো তবে একটু ধীর গতিতে।
Post a Comment