এক ধরণের শল্য চিকিৎসার নাম প্লাস্টিক সার্জারি। এই চিকিৎসার ফলে জন্মগত বা কোনো দূর্ঘটনায় বিকৃত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বাইরের চেহারা পরিবর্তন করা যায়। মুখে বসন্তের দাগ বা অন্য কোথাও কাটা, পোড়া এসবের খুঁত স্বচ্ছন্দে প্লাস্টিক সার্জারি করে দূর করা যায়। আপনারা গন্নাকাটা রোগী বোধহয় দেখেছেন। সাধারণত এদের ওপরের ঠোঁটের এক জায়গায় কাটা থাকে। প্লাস্টিক সার্জারিতে এমন চমৎকার মেরামত হয়ে যায়, আর ধরার উপায় থাকে না।

দেহের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য যে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয় তাকে প্রসাধনিক শল্য চিকিৎসা বলে। মুখে বসন্তের দাগ বা কুঁচকানো চামড়া এসবই দূর করা যেতে পারে।

চোখের পাতা, ঠোঁট, নাক সব কিছুই প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্যে পরিবর্তন করা যায়। কয়েক হাজার বছর আগে ভারতবর্ষেও প্লাস্টিক সার্জারির প্রচলন ছিল। সেকালে কিছু অপরাধীর নাক কেটে সাজা দেওয়া হত। প্লাস্টিক সার্জনরা ঝটপট গাল বা অন্য কোথাও থেকে চামড়া কেটে সেখানে বসিয়ে দিয়ে নতুন আস্ত নাক গড়ে তুলতে পারতেন। বর্তমান যুগে প্লাস্টিক সার্জারি অবশ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরম্ভ হয়েছে। কিন্তু প্লাস্টিক সার্জারি কিভাবে করা হয় তা কি কেউ জানেন? যে জায়গাটা মেরামত করা দরকার ঠিক সেই আকারের চামড়া শরীরের অন্য এক জায়গা থেকে কেটে এনে বসিয়ে দেওয়া হয়। এর জন্য দুই পরত মাত্র চামড়া নেওয়া হয়, যাতে তাদের কোষ চটপট বেড়ে ওঠে আক্রান্ত জায়গাটা বেমালুম সারিয়ে তুলতে পারে। আজকাল যে কোনো বড় শহরের সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে প্লাস্টিক সার্জারির সুযোগ রয়েছে। নিছক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্যও দলে দলে লোক প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্য নেন। বর্তমানে বিশেষ করে হলিউড এবং বলিউডের নায়িকারা বেশি প্লাস্টিক সার্জারি করে থাকেন। 

🌏 ইন্টারেনট থেকে সংগৃহীত।

Post a Comment

 
Top