আমাদের বাংলাদেশ একটি সবুজ-শ্যামল দেশ। এই দেশ ৬ ঋতুর দেশ। সেই ৬ ঋতুর মধ্যে একটি হলো শীত। এখন সেই শীতকাল। আর এই শীতের একটি জনপ্রিয় খেলা হলো ব্যাডমিন্টন। এই জনপ্রিয় ব্যাডমিন্টন খেলা প্রায় সকল বয়সের লোকই খেলে থাকেন। শীতকালে এই খেলাটি জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হলো - আমাদের সবারই শীতকালে শরীল পুরো ঠান্ডা বরফ হয়ে যায়। আর এই খেলাটি খেলে শরীল গরম করা যায়। তাই এই খেলাটি বিশেষ করে শীতকালেই হয়ে থাকে এবং শীতকালের একটি জনপ্রিয় খেলা। ছোট-বড় সব বয়সের লোকই এই খেলাটি খেলে থাকেন। আর খেলাটি বিশেষ করে শীতকালে রাতে হয়ে থাকে। তো আজকে সে ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্ট নিয়ে আমার আজকের পোস্ট। অনেকেই আছেন ব্যাডমিন্টন কোর্টের সঠিক নিয়ম না জানার কারণে ব্যাডমিন্টন কোর্ট তৈরি করতে পারেন না। আমার আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা সঠিকভাবে ব্যাডমিন্টন কোর্ট কিভাবে বানাতে হয় তা জানতে পারবেন।
.
ব্যাডমিন্টন খেলা :
প্রথমে ব্যাডমিন্টন খেলা সম্পর্কে অল্প কিছু আলোচনা করে নেই। ব্যাডমিন্টন খেলাটির উৎপত্তি নিয়ে বহুমত থাকলেও অধিকাংশের ধারণা এ খেলার জন্ম হয়েছে ভারতের পুনাতে। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে পুনায় অবস্থিত ইংরেজ সৈন্যরা স্থানীয় লোকজনদেরকে শাটলকর্ক ও ছোট ব্যাট দিয়ে খেলতে দেখে কৌতূহলবোধ করেন। তারা স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে ঐ খেলা শিখে ছুটিতে ইংল্যান্ডে যেয়ে খেলাটি প্রচলন করেন। ভারতে কর্মরত ইংরেজ সৈন্যরা ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে ব্যাডমিন্টন নামক জায়গায় একত্র হয়ে খেলাটি শুরু করেন। সে থেকে সে জায়গার নাম অনুসারে ব্যাডমিন্টন খেলার নামকরণ হয়। পরবর্তীকালে দেশে দেশে এ খেলার প্রচলনের ফলে সকল বয়সের ও শ্রেণির নারী-পুরুষ ব্যাডমিন্টন খেলায় জড়িয়ে পড়ে।
.
ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্টের পরিমাপ :
আমি সহজ ভাষায় আপনাদের শিখাবো ব্যাডমিন্টন কোর্টের পরিমাপ। তো প্রথমে আমার দেওয়া উপরের ছবির দিকে ভালোভাবে ফলো করুন। তারপর আমার পোস্টটি পড়ুন। ব্যাডমিন্টনের পুরো কোর্টের দৈর্ঘ্য (লম্বা) হবে ৪৪ ফুট। আর প্রস্থ (পাশ্বে) হবে ২০ ফুট। দৈর্ঘ্য ৪৪ ফুটের মধ্যে এখানে তিনটি মাপ (দাগ) হবে। এর মধ্যে দুই সাইটে হবে ১৫ ফুট করে আর মাঝখানে হবে ১৪ ফুট। ১৪ ফুটকে আবার দুইভাগ করতে হবে, এই পাশ্বে ৭ ঐ পাশ্বে ৭ ফুট এর মাঝখানে হবে নেটের খুঁটি। আমি আপনাদেরকে আবারো বলবো - পোস্টটির পাশাপাশি উপরের ছবিটি ভালোভাবে ফলো করুন। তাহলে সহজেই বিষয়টা বুঝতে পারবেন।

Post a Comment

 
Top